রক্তদানের উপকারিতা

 স্বাস্থ্য কথা

অনেকেই রক্ত দিতে ভয় পান। তাদের মতে রক্ত দিলে শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। এই ভয় থেকে অনেকেই রক্ত দিতে চান না। কিন্তু আমাদের শরীরের সামান্য রক্তে অনেক মানুষেরই অনেক উপকার হয়। অনেক মানুষ এই আমাদের এই সামান্য সাহায্যে বাঁচার রসদ পান।

রক্তদান যে কোনও মানুষের জীবনের সবথেকে বড় উপহার। কাউকে রক্ত দেওয়ার অর্থ হল, তাকে নতুন জীবন দান করা। যে কয়েকটি কারণে আমাদের অবশ্যই রক্তদান করা উচিত্‌-

১) রক্তদান শুধুমাত্র অন্য কোনও ব্যক্তিকে সাহায্য করাই নয়। রক্তদান মানে নিজেকেও সাহায্য করা। রক্ত দিলে তবেই আমাদের শরীরে নতুন রক্ত তৈরি হওয়ার সুযোগ আসে। আর শরীরের পক্ষে নতুন রক্ত তৈরি হওয়া খুবই জরুরি।

২) যে সমস্ত মানুষের অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা রয়েছে, বা এমন কোনও ব্যক্তি যাঁর শরীরে রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এছাড়া শিশুদের এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, বা ক্যানসার রোগীদের জন্য রক্ত খুবই দরকারী হয়ে পড়ে।

৩) থ্যালাসেমিয়া এবং সিকল সেল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সবসময় রক্তের প্রয়োজন হয়।

৪) রক্ত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায় না। আর এটি খুব সহজে পাওয়াও যায় না। অথচ রক্তের প্রয়োজন সবসময় হয়। তাই অসময় রক্তের চাহিদা পূরণের জন্য এটাই একমাত্র সহজ উপায়।

রক্ত দানের উপকারিতা :
রক্তে আয়রনের ভারসাম্য বজায় রাখে:
নিয়মিত রক্ত দান করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ সঠিক হয় ফলে শরীরে আয়রনের ভারসাম্য বজায় থাকে। কেননা রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক:
ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকেন অনেকাংশে। যেমন, নিয়মিত রক্তদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

হার্ট ভালো থাকে:
নিয়মিত রক্তদান রক্তে কোলেসটোরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের অনেকটাই ঝুঁকি কম থাকে।

আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়:
রক্ত দান করলে মানুষের মানসিক প্রশান্তি বাড়ে। কারণ একজন মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে তাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার যে শান্তি তা আর কোনো ভাবেই পাওয়া যায় না।