![হিট স্ট্রোক কেন হয়? কার হয়? প্রতিরোধের উপায় কী?](https://www.horekkhobor.com/article_images/107.jpg)
গ্রীষ্মের জ্বলন্ত গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং রক্তপাকের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাকে
হিট স্ট্রোক বলা হয়। গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় এবং রক্তপাকের মাত্রা কমে যাওয়া এবং অচেতন হওয়ার মত মারাত্মক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
তীব্র গরমের মধ্যে থাকলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে কয়েকটি রোগের আশঙ্কা থাকে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১) অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে হিট র্যাশ এবং অন্যান্য সমস্যা বেড়ে যায়।
২) বয়স্কদের এ সময়ে শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের সাম্যবহতা হতে পারে নষ্ট।
৩) শীতের মতোই তীব্র গরমে আপস্মারকের আশঙ্কা থাকে।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু টিপস
১) বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা নিতে পারেন।
২) মাথায় টুপি থাকলে ভালো হয়।
৩) হালকা সুতির পোশাক বেশি পড়ুন।
৪) সকাল ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত সময়ে বাইরের কাজ থেকে বিরত থাকুন।
৫) প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন।
৬) যদি অসুস্থ মনে হয়, অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে গেলে যা করবেন
১) গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে যত দ্রুত সম্ভব ঠান্ডা জায়গা নিয়ে যাওয়া উচিত।
২) ঘুমানোর জন্য শীতল জায়গা ব্যবহার করতে হবে এবং পা কিছুটা উপরে উঠিয়ে দিতে হবে।
৩) পানিশূন্যতা দূর করতে দ্রুত পানি পান করতে হবে।
৪) অসুস্থ ব্যক্তির ত্বক ঠান্ডা রাখার জন্য শীতল কাপড় বা স্পঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। বগলের নিচে ও ঘাড়ে গলায় ঠান্ডা পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) যদি ৩০ মিনিটের মধ্যে সুস্থ না হয় তবে আপনার হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা রয়েছে। এই সময়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
হিট স্ট্রোক কেন হয়? কার হয়? প্রতিরোধের উপায় কী?
স্বাস্থ্য কথা