পানির অপচয় রোধে করণীয়

 জীবনধারা

পানির অপর নাম জীবন। পানির অস্তিত্বের উপর টিকে আছে সমগ্র প্রাণী এবং উদ্ভিদকুল। ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানির ব্যবহার অপরিহার্য। যার অধিকাংশ অপচয় হয়ে যাচ্ছে। একটু সচেতন হলে পানির এই অপচয় রোধ করা সম্ভব।

১. যখন দাঁত পরিষ্কার করবেন তখন পানির কল বন্ধ রাখুন। অনেকে পানির কল চালু রেখে দাঁত পরিষ্কার করেন। দাঁত পরিষ্কার করার সময় পানির কল বন্ধ রাখলে প্রতি মিনিটে আপনি ৬ লিটার পানির অপচয় রোধ করতে পারবেন।

২. দীর্ঘ সময় ধরে গোসলের ফলে পানির অপচয় হতে পারে। গোসলের সময় ভেদে একজন মানুষ প্রতি-মিনিটে ৬ থেকে ৪৫ লিটার পানি ব্যবহার করে। গোসলের সময় যেন পানির অপচয় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩. পানির কল শক্ত করে না লাগানোর ফলে কল থেকে ফোটা ফোঁটা পানি পড়তে থাকে। এই ফোঁটা ফোঁটা পানির হিসেব করলে দেখা যায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ লিটার এবং বছরে ৫৫০০ লিটার পানি এভাবে অপচয় হয়।

৪. রান্নাঘরের ব্যবহৃত পানি সংরক্ষণ আপনি আপনার বাগানে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ব্যবহৃত পানি ফিল্টার করে গাড়ী ধোয়া অথবা জানালার কাঁচ পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. বাগানে হোসপাইপ দিয়ে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ১০০০ লিটার পর্যন্ত পানি খরচ হতে পারে। যদি বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণ জৈব সার দেয়া যায় এবং খুব সকালে এবং বিকেল বেলা পানি সেচ দেয়া যায় তাহলে পানি বাষ্পীভবন অনেকটাই কমে যায়। ফলে পানির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমে যায়।

৬. অনেক সময় দেখা যায় সূর্যের উত্তাপে পানির পাইপ উত্তপ্ত হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় ধরে পানির কল চালু রাখা হয় ঠাণ্ডা পানি বের হওয়ার জন্য। এই পানিটুকু অপচয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য আপনি একটি জগে করে পানি নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। পরে প্রয়োজন মত সেই পানি গরম পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৭. পানির কল চালু করে অন্য কোন কাজে মনোনিবেশ করবেন না। প্রয়োজনীয় কাজটি শেষ করে পানির কলটি বন্ধ করে অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন।