খাবার টেবিলের আদবকেতা

 জীবনধারা

একেক দেশে একেক রকম খাওয়াদাওয়ার চল। সেই খাবার খাওয়ার নিয়মও আলাদা স্বাভাবিকভাবেই। কোনো দেশে চামচ দিয়ে খাবার খাওয়াটাই ভদ্রতার পরিচয়। কোথাও আবার হাতটাই সম্বল। খাবার টেবিলের নিয়মগুলো দেশ, জাতি, সংস্কৃতিভেদে আলাদাই হয়ে থাকে। তবে কিছু নিয়ম সব জায়গার জন্যই প্রযোজ্য। শহুরে পরিবেশে এই নিয়মগুলো কিছুটা হলেও মেনে চলা ভালো। কেননা, খাবার টেবিলের আচরণবিধি আপনার রুচিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।

১. শব্দ না করে খাওয়াই ভালো। আপনি হয়তো খুব তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছেন। পাশে বসা মানুষটি হয়তো এই শব্দের কারণেই ঠিকমতো খেতে পারছেন না। সাধারণত খাওয়া চিবোনোর সময় মুখ খোলা ও বন্ধ হওয়ার কারণেই এই শব্দ হয়। ঠোঁটজোড়া বন্ধ করে খেলেই খাওয়ার শব্দ হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। প্লেট-চামচের ঠোকাঠুকির শব্দ যাতে কম হয়, খেয়াল রাখা দরকার সেদিকটাতেও।

২. খাবার টেবিলে যে পদটি খেতে চাইছেন, হাতের নাগালের মধ্যে থাকলে খাওয়ার বাটিটি নিজে টেনে নিন। নাগালের বাইরে থাকলে পাশে বসা মানুষটিকে অনুরোধ করুন। কিন্তু আরেকজনকে টপকে বা টেবিলের ওপর ভর করে অন্য পাশ থেকে খাওয়ার বাটিটি টেনে নিয়ে আসা শোভন নয়।

৩. কাশি, হাঁচি খাওয়ার সময় আসতেই পারে। অবশ্যই মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেবেন। এ সময় মুখে হাত বা রুমাল দেওয়াটাও বাধ্যতামূলক। নিজেকে দিয়েই চিন্তা করতে পারেন। পাশে বসা মানুষটি যদি খাবার টেবিলের দিকে মুখ করে হাঁচি দেন, সেই খাবার কি আপনি খাবেন?

৪. আনুষ্ঠানিক দাওয়াতের টেবিলে খাবার পরিবেশনের পর খেয়াল করুন কতটুকু খাবার দেওয়া হয়েছে। আপনার ভাগেরটুকুই প্রথমে নিন। সবার নেওয়া শেষ হলে তখন আবার খাবার নিতে পারেন।

৫. খাওয়ার সময় টেবিলের ওপর কনুই না রেখে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৬. রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় চামচ ব্যবহার করতে হয়। ডান হাতে ছুরি বাঁ হাতে কাটা চামচ ধরুন। ছোট ছোট টুকরা করে কেটে মুখে দিন। খাওয়ার বিরতির মাঝে চামচগুলো প্লেটের ওপরে রাখুন। খাওয়া শেষ হলে প্লেটের মাঝ-বরাবর কাটাচামচ আর ছুরিটি রেখে দিন।

৭. খাওয়া মুখে নিয়ে কথা না বলাই ভালো।

৮. রেস্তোরাঁয় থাকলে ন্যাপকিন কোলের ওপর বিছিয়ে নিন। খাওয়ার সময় মুখে খাবার লেগে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ন্যাপকিন দিয়ে মুছে নেওয়া ভালো।

৯. আঙুল দিয়ে ঠেলে কখনোই চামচে খাবার ওঠাবেন না।

১০. দাঁতে খাওয়া আটকে গেলে খাবার টেবিলে বসে সেটা বের করার জন্য খোঁচাখুঁচি না করাই ভালো।